শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রদ্ধা

3

।। নিজস্ব বার্তা পরিবেশক।। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে, যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণের একেবারে দোরগোড়ায়, তখন বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে যে বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী, সেই শহীদ সূর্যসন্তানদের আজ শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেছে জাতি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর  দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের পর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে অনেকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।

আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শহীদবেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মন্ত্রিসভার সদস্যগণ এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন।

পরে সর্বস্তরের জনগণ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। পতাকা আর ফুল হাতে সকাল থেকেই নানা বয়সের মানুষ জড়ো হন শহীদ বেদীতে। ছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তবে করোনা মহামারীর কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার উপস্থিতি কম। তবু দুপুর গড়ানোর আগেই বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদী ফুলে ফুলে ভরে ওঠে।