ফিরে দেখা পরিষদ বার্তা জুন ২০০২ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক নির্যাতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ

6

।। পরিষদ বার্তা রিপোর্ট ।। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অব্যাহত নির্যাতন-নিপীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

রিপাবলিকান সিনেটর এবং সিনেটর বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আর্লেন স্পেক্টারের কাছে লেখা এক পত্রে সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী পোল ভি কেলী এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। কেলী উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মৌলিক অধিকারকে সংহত করতে সে দেশের রাজনীতিকদের উদাসীনতা এবং আইনের শাসন দুর্বল হওয়ায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যদিও গত ১ অক্টোবরের নির্বাচনে জয়ী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বশক্তি নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিল।

সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পত্রে আরো বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে এবং হামলা ও নির্যাতন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেই লক্ষে বাংলাদেশ সরকারের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দলে পারস্পরিক বিশ^াসের ভিত্তি যাতে সুদৃঢ় হয় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সে জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেত আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছি।

সিনেটর আর্লেন স্পেক্টার গত ২৪ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেনারেল কলিন পাওয়েলকে একটি পত্র লিখেছিলেন বাংলাদেশ সংখ্যালঘু নির্যাতনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য। সেই পত্রে তিনি এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের  রিপোর্টেরও উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন। সিনেটর আরো বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু তথা কিছু সম্প্রদায়কে রক্ষার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম অফিসকে আদৌ কোন কাজে লাগানো হয়েছে কিনা আমি তা জানতে চাই। কেননা ১৯৯৭ সালে সিনেটে ঐ অফিস স্থাপনের জন্য যে বিলটি পাস হয়েছে তা আমিই উত্থাপন করেছিলাম। আর্লেন আরো উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয় না এবং নির্যাতনকারীদের প্রচন্ড ঘৃণা করে। এই বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে কিনা তাও আমি জানতে চাই।

আর্লেন স্পেক্টারের লেখা এই পত্রের জবাবে কলিন পাওয়েলের পক্ষে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেলী উপরোক্ত বক্তব্য জানিয়েছেন। আমেরিকান নিউজ এজেন্সী গত  ২২ জুন পত্রটির বিবরণ প্রকাশ করেছে।