পরিষদ বার্তা মে ২০০২ খালেদা জিয়ার প্রতি দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্য সংখ্যালঘু নির্যাতনের ওপর শেতপত্র প্রকাশ করুন

4

॥ পরিষদ বার্তা রিপোর্ট ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেস সদস্য ফ্রাঙ্ক প্যালোন এবং এন্থনি উইনার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে লেখা এক চিঠিতে গত বছরগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের  শে^তপত্র  প্রকাশের আহ্বায়ক জানিয়েছেন।

গত ৬ মে লেখা এই চিঠিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দলের বিজয়ের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ^াসী জনগণের ওপর হয়রানি ও নির্যাতন শুরু হয়।

চিঠিতে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব বাংলাদেশী হিন্দুস এন্ড ফ্রেন্ডস, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, বিসিসি, সি এন এন সহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, তাদের সম্পদ ধ্বংস ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের যেসব খবর পাওয়া গেছে তা তুলে ধরে অবিলম্বে সেগুলো বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা, তাদের ওপর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকির কারণে হাজার হাজার হিন্দুরা দেশ ত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বিশেষ করে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মাধ্যমে ইসলামিকরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন্। এর ফলে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে। তাই স্বাধীনতার পর যখন সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল শতকরা ২০ ভাগ তা এখন কমে শতকরা ১২ ভাগে দাঁড়িয়েছে।

কংগ্রেস সদস্যদ্বয় ঢাকায় মোল্লা মোহাম্মদ ওমর ও ওসামা বিন লাদেনের সমর্থনে সংগঠিত বিক্ষোভ মিছিলের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা চিঠিতে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার যে মূলনীতি ছিল তা ফিরিয়ে আনা, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের শে^তপত্র প্রকাশ, যারা নির্যাতন নিপীড়ন ও মামলার শিকার হয়েছে এবং ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও হামলা তদন্তের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।