সেই ঐতিহাসিক চিঠি

7

একাত্তরের সেই ঐতিহাসিক চিঠি, যে চিঠি বয়ে এনেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি ভারত সরকারের স্বীকৃতি। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায়ের সূচনা হয়, তার কয়েক ঘন্টা আগে কলকাতার প্যারেড গ্রাউন্ডে বিকেল তিনটায় এক জনসমুদ্রে, যার সিংহভাগই ছিলেন বাংলাদেশের শরণার্থীরা, প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন, অচিরেই স্বাধীন মাতৃভূমিতে শরণার্থীরা মাথা উঁচু করেই ফিরে যাবেন। তিনি বক্তব্য শেষ করেছিলেন ‘জয় বাংলা, জয় হিন্দ’ বলে। এই জনসভাতেই ভারতে পাকিস্তানি বিমান হানার খবর আসে। শ্রীমতী গান্ধী উড়ে যান দিল্লি। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি ভি গিরি জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

পরদিন থেকেই খবর, মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাভূত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ঢাকার দিকে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। সব রণাঙ্গন থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর বিপর্যয়ের খবর এসে পৌঁছুচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে। পতন ঘটছে একের পর এক পাকিস্তানের শক্ত ঘাঁটির। চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকায় তৎকালীন গভর্নর হাউস, বর্তমানে বঙ্গভবনে বোমাবর্ষণের খবর পাওয়া যায়।

৬ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি ঘোষণা করে চিঠি পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের কাছে। তার কিছুক্ষণ আগে অবশ্য কৌশলগত কারণে ভুটানের স্বীকৃতি আসে।

শ্রীমতী গান্ধীর সেই চিঠি এখানে পত্রস্থ হলো। চিঠিটি পাওয়া গেছে শ্রী কাজল দেবনাথের সৌজন্যে।